৮.৬ মাত্রার ভূমিকম্প ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:৪৪
-63fe1368bb585.jpg)
উঁচু উঁচু বিল্ডিংয়ের কারণে ভূমিকম্প ঝুঁকিতে ঢাকা। ছবি: সংগৃহীত
তুরস্ক-সিরিয়ার বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর থেকে ভূমিকম্প আতঙ্কে ভুগছে সারা বিশ্ব। বাংলাদেশও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। পৃথিবীর টেকটোনিক প্লেটগুলোর নড়াচড়া বেড়ে যাওয়ায় গত ২৩ দিনে সারাবিশ্বে মাঝারি ও তীব্র মাত্রার ১২০ বারেরও বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। ভূগর্ভস্থ টেকটোনিক প্লেটগুলোর মধ্যে ঘর্ষণের ফলে প্রতিদিন বিশ্বের নানা প্রান্তে ভূকম্পন হচ্ছে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত ফল্টে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৪ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজও ৩.৭ মাত্রার ভূকম্পন হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ভারতের আসামে। সে কারণে ভূমিকম্প নিয়ে বাংলাদেশি গবেষকরা দিচ্ছে নানা সতর্ক বার্তা।
বাংলাদেশ ৮.৩ থেকে ৮.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, ভূমিকম্পের সম্ভাব্য ঝুঁকি প্রশমনে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘বাংলাদেশের ভূমিকম্প ঝুঁকি প্রশমন ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, দেশের ভূমিকম্প ঝুঁকি প্রশমনে শিক্ষক, গবেষক, নীতিনির্ধারক, গণমাধ্যমকর্মী এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পেশাজীবী সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে ভূমিকম্প সহনশীলতার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে যাচাই করতে হবে। সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাইম মো. শহিদউল্লাহসহ সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা আলোচনায় অংশ নেন।